লকডাউন ভেঙে জমায়েত কোথায় তার সন্ধানেই উত্তরপাড়ায় শুরু ড্রোন ক‍্যামেরায় নজরদারি

2nd April 2020 হুগলী
লকডাউন ভেঙে জমায়েত কোথায় তার সন্ধানেই উত্তরপাড়ায় শুরু ড্রোন ক‍্যামেরায় নজরদারি


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) : করোনার মহামারী যেভাবে ছড়িয়ে পড়ছে তাতে উদ্বিগ্ন প্রশাসন। বারবার মানুষকে অনুনয়-বিনয় করা সত্বেও একশ্রেণীর মানুষ বিপদের ব্যাপারটা উপলব্ধি করতে পারছেন না ।এরা বুঝতে চাইছেন না যে যদি একবার এই মারণব্যাধি মহামারী রূপ নেয় তবে কিন্তু একবারে ছারখার করে দেবে সমাজকে। তারই জন্য উত্তরপাড়া পৌরসভা এবং উত্তর পাড়া থানার উদ্যোগে নজরদারি করার জন্য আকাশে ড্রোন উড়ানো হলো। এই ড্রোন উত্তরপাড়া পুর এলাকা  এবং কোন্নগর পুর এলাকার উপর দিয়ে নজরদারি চালাবে বলা হয়েছে । এ ধরণের নজরদারির খুব প্রয়োজন কারণ মানুষকে বলে বলে বুঝিয়ে পারা যাচ্ছে না । যেন উৎসবের আবহ চলছে।  মানুষ কিছুতেই বুঝতে পারছেন না এর বিপদের দিকটা। এই নজরদারির ফলে একাধারে অনেকটা অংশ কভার করবে। পুলিশ প্রশাসন এর ফুটেজ দেখে কোথায় কোথায় জমায়েত হচ্ছে কারা জমায়েত করছে তার ছবি ড্রোন পাঠাতে থাকবে। যারা আইন ভাঙবে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে পুলিশ প্রশাসন জানা গেছে আজকে এই ড্রোন নজরদারি কর্মসূচি শুরু হলো এবং আজকে একটি ড্রোন আকাশে  নজরদারি চালাচ্ছে এবং আগামীকাল থেকে দুটি বা তিনটি এই ধরনের ড্রোন আকাশে উড়বে এবং নজরদারিতে তারা ব্যস্ত থাকবে ।এবং তাদের পাঠানো ফুটেজ থেকে প্রশাসন শনাক্তকরণের কাজ শুরু করবে।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।